হিলিতে কোটি-কোটি টাকার কাপড় নষ্ট হচ্ছে ঃ
এম এ হক, দিনাজপুর। দিনাজপুরের হিলি কাষ্টমস শুল্ক গুদামে কোটি কোটি টাকার শাড়ী-থ্রীপিচ নষ্ট হচ্ছে। ত্রান মন্ত্রনালয়ে না পৌঁছানোর কারনে দীর্ঘদিন ধরে স্তুপ আকারে এসব কাপড় শুল্ক গুদামে পড়ে আছে। কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ত্রান মন্ত্রনালয়ে পাঠাতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। আর এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি হিলি কাষ্টমসের সহকারি কমিশনার।
প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে পাঁচার হয়ে দেশে প্রবেশ করছে কোটি কোটি টাকার নানা চোরাচালানী পন্য। আর চোরাচালানী এসব পণ্য বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব’র হাতে ধরা পড়ছে। তারা আটক এসব পন্য হিলি কাষ্টমস শুল্ক গুদামে জমা দিয়ে শুল্ক মামলা করে থাকেন। আটক পন্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ী, থ্রী-পিচ, টু-পিচ, মাদকদ্রব্য, মেসিনারিজ যত্রাংশ, জিরা, মসলা, কসমেটিক সামগ্রীসহ নানা ধরনের চোরাচালানী পন্য।
কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, কাষ্টমস’র নিয়ম অনুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আটক পন্যসামগ্রী সাধারণত নিলামে বিক্রি করে দিলেও শাড়ী, টু-পিচ, থ্রী-পিচগুলো পাঠানো হয় ত্রান মন্ত্রনালয়ে। তবে অর্থাভাবের কারনে ২০১৪ সালের জুলাই মাসের পর থেকে গত দু’বছর ধরে এসব আটক কাপড় স্তুপ আকারে গুদামে পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে এসব কাপড় দুর্যোগপুর্ণ ও মন্দাপীড়িত এলাকার গরীব-দুখিদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, স্তুপ আকারে এসব কাপড় ফেলে রেখে নষ্ট না করে জরুরিভাবে ত্রান মন্ত্রনালয়ে পাঠালে মন্ত্রনালয় দুর্যোগপুর্ণ ও মন্দাপীড়িত এলাকার গরীব-দুখিদের মাঝে বিতরণ করলে তাদের কাপড়ের অভাব কিছুটা হলেও দুর হতো।
সদ্য যোগদানকারী হিলি কাষ্টমসের সহকারি কমিশনার পারভেজ আল জামান কাষ্টম শুল্ক গুদামে পড়ে থাকা কাপড়ের মজুত সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। সব কিছু অবগত হওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারবো।