ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যাস্ত চিরিরবন্দরে খামারিরা

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:42 PM, 08 September 2016

মো. মিজানুর রহমান (মিজান), চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আর মাত্র ক’দিন পরেই কোরবানীর ঈদ। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কৃষক ও খামারিরা ততই ব্যস্ত হয়ে উঠছেন তাদের গরু মোটাতাজা করতে। এ ঈদে গরু বিক্রি করে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভ করার আশায়। ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে দেশিয় খাবার খাইয়ে গরুকে মোটাতাজা করতে এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন উপজেলার প্রান্তিক চাষি ও খামারিরা।

উপজেলার খামারগুলোতে ক্ষতিকারক ওষুধ সেবন ছাড়াই দেশেই উৎপাদিত বিভিন্ন গো-খাদ্যসহ খৈল, ভূষি, ছোলা, চোপড়, ধানের গুড়া, ভাতের মাড়, খড়, কাঁচা ঘাস আর ভাত খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে প্রাকৃতিক উপায়ে। এই পন্থায় মোটাতাজা গরুর মাংস খেলে মানুষের কোন ক্ষতি হয় না বলে স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা জানান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তারেক হোসেন জানান, এবার উপজেলা ১২টি ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলে অন্তত শতাধিক খামারে ২২হাজার গরু, ১১হাজার ছাগল ও ৩হাজার ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ২শ’টি ছোট বড় ও মাঝারি ধরনের খামার রয়েছে। ওইসব খামারে গরু মোটাতাজা করা হয় প্রাকৃতিক উপায়ে। আবার কিছু কিছু মৌসুমী খামারও রয়েছে। এসব মৌসুমী খামারে শুধুমাত্র ঈদের কোরবানীর জন্য গরু মোটাতাজা করা হয়। এসব খামারে চুক্তিভিত্তিক গরু পালনে সক্ষম লোকদের কাজ দেয়া হয় শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করে অধিক লাভে ঈদের বাজারে বিক্রি করতে। এতে ওইসব শ্রমিকও লাভবান হয়।

সরেজমিনে উপজেলার নশরতপুর গ্রামের বালাপাড়ার খামারি মো. হামিদুল হকের ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন খামারের লোকজন। হামিদুল হক জানান, এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমি ১১টি ষাঁড় গরু ক্রয় করে অন্তত ৬মাস ধরে আমার খামারে লালন পালন করছি। এ খামার থেকে অন্তত ১১টি গরু প্রস্তুত করা হচ্চে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য। একেকটি গরুর মূল্য ৫০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা করছেন। খৈল, ভূষি, ছোলা, চোপড়, ধানের গুড়া, ভাতের মাড়, খড়, কাঁচা ঘাস আর ভাত খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। আমি এ গরুগুলোকে দেশিয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করেছি। আশা করছি ঈদের আগের হাটে ভালো দাম পাবো।

খামারি মো. শামসুল হক জানান, নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করতে পারলে খামার ব্যবসায় অল্পদিনেই ভালো লাভ পাওয়া যায়। খামার ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসায় শ্রম দিতে পারলে অল্পদিনেই অধিক মুনাফ্ াঅর্জন করা যায়। আসছে কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য। ক্ষতিকারক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করলে এতে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। ওইসব গরুর মাংস খেলে মানুষের বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দেয়। অনেক সময় গরুও মারা যায়।

আপনার মতামত লিখুন :