ছেলে হত্যায় গোবিন্দগঞ্জে পিতা ও সৎ মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:12 PM, 25 August 2021

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামে পিতা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে ছেলে হত্যার অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী কুলছুম বেগম।

মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মীর কাসেম ফুয়াদ হোসেনের ২য় ছেলে শাকিল আকন্দের লাশ গত ২৪ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নিজ শয়ন ঘর থেকে উদ্ধার হয় বলে পারিবারিক সুত্রে জানা যায়।

এলাকাবাসী ও নিহতের ফুফু জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যা। কারণ নিহত শাকিলের মা ২ সন্তান রেখে প্রায় ২০ বছর পূর্বে শাকিলের পিতা ফুয়াদ হোসেন তার গর্ভের সন্তান জোর পূর্বক নষ্ট করতে বাধ্য করায় তার মৃত্যু হয়। সেই ছোট বেলা থেকে ফুফু মা হারা ২ ভাতিজাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করে। তবু পিতা ফুয়াদ হোসেন ও সৎ মায়ের কাছে তাদের আশ্রয় মিলেনি। শাকিল ৪/৫ মাস পূর্বে গাইবান্ধা ডেভিড কোম্পানি পাড়ায় কুলসুম নামে এক মেয়েকে বিবাহ করে ঘরে নিয়ে আসে। নিহত হওয়ার ৩ দিন পূর্বে শাকিলের পিতা ফুয়াদ ও সৎ মা গোন্ডগোল করে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দিলে শাকিলের স্ত্রী বাবার বাড়ীতে চলে যায়।

ফুফু হাসিনা বেগমের দাবী ভাতিজা শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে। সৎ মা কৌশলে তার ভাই ফুয়াদ হোসেনের কাছ থেকে নিজের সন্তানের নামে ৫ শতাংশ জমি দলিল করে নেন স্বামীর কছে থেকে। সেই জমিতে শাকিলের মায়ের কবর ছিলো। এ নিয়ে পিতা পুত্রের মাঝে দ্বন্দ চলে আসছে। এরি সুত্র ধরে তাকে নিজ ঘরে হত্যা করে গলায় দড়ি লেগে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে এর দায় অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চান।

তবে প্রত্যক্ষদর্শি রাজমিস্ত্রি নিজাম উদ্দিন জানান, তারা সকালে জৈনক ফজলু মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঘরের প্রাচীর নির্মণের কাজ করতে ছিলেন। হঠাৎ দিনের সাড়ে ৯ টার দিকে ফুয়াদ হোসেনের জামাই জিরাই গ্রামের মৃত-আনছার আলীর ছেলে রিপন মিয়া শাকিলকে ঘাড়ে করে বাড়ীর ভিতর থেকে বের করে বাহিরে উঠানের গাছ তলায় নিয়ে এসে শুয়ে রেখে চিল্লাচেল্লি করে। এর মধ্যে লোকজন জরো হলে তারা শাকিলের কোন নড়াচড়া না থাকায় মৃত্যু ঘোষনা করেন।

নিহত শাকিলের স্ত্রী কুলসুম বেগম বাদী হয়ে শুশুড়, সৎ শাশুড়ীকে আসামী করে থানায় একটি হত্যার অভিযোগ দাখিল করেছেন। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় গাইবান্ধার সি-সার্কেল উদয় সাহা ও গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গত ২৫ আগষ্ট সকালে ঘটনার স্থল পরিদর্শণ করেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, হত্যা না আত্নহত্যা।

আপনার মতামত লিখুন :