বহু ঘাটের জল খেতে গিয়ে পা পিছলে পুলিশের জালে শ্বশুর-জামাই কাজী

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  12:47 AM, 15 June 2020

মিঠুন সরকার, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছায় বহুল আলোচিত ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে ৪৯ দিনে ২ বার তালাক এবং ১ বার বিয়ে দেওয়ার মূল হোতা (শ্বশুর-জামাই কাজী) খ্যাত কাজী মাওলানা একরাম উদ্দীন ও তার শ্বশুর ইব্রাহীম খলিল বহু ঘাটের জল খেতে গিয়ে পা পিছলে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার নাভারণ ইউনিয়নের কাজী মাওলানা একরাম উদ্দীনের শ্বশুর ইব্রাহীম খলিল ইরানি খাতুন (১৩) নামে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উপবৃত্তির কার্ডে স্বাক্ষরের নাম করে ডেকে এনে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ায় মেয়েটির মা রোজিনা খাতুন রবিবার বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও জাল জালিয়াতির মামলা করায় তাদেরকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার নাভারণ ইউনিয়ন কাজী মাওলানা একরাম উদ্দীনের শ্বশুর ইব্রাহীম খলিল ইরানি খাতুন (১৩) নামে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উপবৃত্তির কার্ডে স্বাক্ষরের নাম করে ডেকে এনে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। পরেরদিন মেয়েটির বাবা জিন্নাত আলী ও তার মা রোজিনা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ করেন। ওইদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার সুলতানা ও পুলিশের এসআই এজাজুর রহমানকে তদন্তের জন্য কাজী অফিসে পাঠান। এক পর্যায় তাঁরা কাজী অফিসে তল্লাশি করে বিচারিক আদালতের হাকিম ও নোটারি পাবলিকের সিল, বিপুল পরিমাণ জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন ও শুধু বর-কণের স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্প উদ্ধার করেন।

অভিযোগের একপর্যায়ে মেয়েটির মা রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও জাল জালিয়াতির মামলা করেন। এতে পুলিশ বিতর্কিত কাজী একরাম উদ্দীন ও তার শ্বশুর ইব্রাহীম খলিলকে আটক করে। মামলা একটি হলেও এর চার্জশীট গঠন হবে দুইটি। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরটি জাল জালিয়াতির’।
তিনি আরও বলেন, ‘ঝিকরগাছা থানার পুলিশ কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনা। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

আপনার মতামত লিখুন :