বাল্যবিবাহ ও পারিবারিক সহিংসতা চাই সমন্বিত উদ্যোগ

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:54 PM, 28 July 2019

মিজানুর রহমান (মিজান), চিরিরবন্দর, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পারিবারিক সহিংসতার শিকার অধিকাংশ নারী বাল্য বিবাহের কারণে নির্বাতনের শিকার হচ্ছে। চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলঅম রব্বানী, সহাকারী কমিশনার(ভূমি) মো. মেজবাউল করিমসহ চিরিরবন্দর থানার (ওসি) মো. হারেসুল ইসলাম এবং বিভিন্ন সচেতন ব্যাক্তিবর্গ সমন্বিত চেষ্টা করেও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরসহ বিভিন্ন সহকারী দপ্তর ও এনজিও সুত্রে জানা গেছে, অসচেতনতা, অশিক্ষিত, দারিদ্র, কুসংস্কার, সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন, নিরাপদ বাসস্থান ও পরিবেশ এবং অস্বচ্ছলতার কারণে গ্রামসহ মফস্বল শহর এলাকায় ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিশু কিশোরীরা বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে। আইন থাকলেও প্রায়োগে ঘাটতি থাকায় এসব শিশু কিশোরীদের জোর করে বিয়েতে রাজী করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষেধ সত্বেও স্থানীয় রাজনৈতিকও প্রভাবশালীদের পরামর্শে ও সাহসে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে রাতের আঁধারে গোপনে অল্প আরবি জানা লোকদের দিয়ে বিয়ে পড়ানো হচ্ছে। বয়স কম হওয়ায় কাজীরা বিয়ে রেজিষ্টেশন না করায় ঐ কিশোরীটি আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পারায় কিছুদিন যেতে না যেতেই মানসিক নির্যাতন, শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, যৌতুকের চাপের ফলে ছড়াছড়ি হয়ে যাচ্ছে প্রায় বিয়ে। অনেক ক্ষেত্রে ১টি সন্তান হওয়ার পর শরীর স্বাস্থ্য ভেংগে যাওয়ার স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। সামাজিক সুনাম নষ্টের ভয়ে অনেকেই নির্যাতনের কথা গোপন রাখছে। পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে সুনিদিষ্ট আইনি-বিধান থাকলেও অসচেতনতা, মামলার দীর্ঘসুত্রিতা, দোষী ব্যক্তির লঘু শাস্তি, আশ্রয়/নিরাপদ বাসস্থানের অভাব, প্রতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা থাকায় মামলা নিতে টাকার চাপ, মামলার তদন্ত খরচ মেটানো, ঠিকমত বিচার না পেয়ে হতাশ হয়ে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিচ্ছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রতিরোধ, যৌন হয়রানি, ধর্ষন, ধর্ষনসহ হত্যা, জখম, অপহরন ও উক্ত্যক্তকরন বন্ধে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, এনজিও সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি, প্ল্যান ইনটারন্যাশনাল বাংলাদেশ, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বহুব্রীহি, এসইউপিকে, পল্লীশ্রী, উদ্যোগ, বেলতলী সংগীত একাডেমী ও ক্ষেলতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন উঠান বৈঠক, র‌্যালী, মানববন্ধন, পথ নাটক, মঞ্চনাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,জারি গান, সেমিনার, আলোচনা ও মতবিনিময় সভা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, বির্তক প্রতিযোগিতা, মা সমাবেশ, ভিডিও প্রদর্শন, গোলটেবিল বৈঠক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সংবাদ সম্মেলন করে জনগনের সচেতন করে তুলতে চেষ্টা করলেও দারিদ্রতা, অশিক্ষা, মোবাইলের অপ-ব্যবহার বাল্যপ্রেমে জড়িয়ে পড়া, পিতা-মাতার বোঝা মনে করা, পরিবেশ ফেল করা, অনৈতিক সম্পর্ক ও কুসংস্কারের কারণে বাল্যবিবাহ কৌশল পাল্টে হচ্ছেই এবং নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। এটি প্রতিরোধ করতে চাই সমম্বিত উদ্যোগ, সচেতনতার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা, আইনের কঠোরতম প্রযোগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যবইয়ে অধ্যয় অন্তভুক্ত, কুফল সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারনা, পারিবারিক বন্ধনে বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, আদব-কায়দা, নৈতিক শিক্ষা, সমালোচনা না করা, শিশুদের সামনে সহিংসতা এড়িয়ে যাওয়া ও গণ-মাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা

আপনার মতামত লিখুন :