খানসামায় দু’মাথা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম প্রণাম করছে হিন্দু সম্প্রদায় ঃ
এম এ হক, দিনাজরপুর প্রতিনিধি। দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামে দু’মাথা বিশিষ্ট গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে জয়ন্ত রায়ের গোয়াল ঘরে এমন অদ্ভুত দু’মাথা বিশিষ্ট বাছুরটি প্রসব হয়। খবর পেয়ে সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ সাইকেল, মোটরসাইকেল ও রিক্সা-ভ্যানে করে বাছুরটিকে দেখতে ছুটে আসছেন। বিশেষ করে হিন্দু স¤প্রদায়ের দর্শনার্থীরা বাছুরটিকে দেখে প্রনাম করছে আর দেবতার নামে অর্থ ছুড়ে ফেলছেন। তাই বাছুরের মালিক সেখানে একটি রুমাল পেতে দিয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে কয়েক হাজার টাকা রুমালে জমা পড়েছে।
সদ্য প্রসব করা বাছুরটির দু’টি মাথা, দুটি মুখ আর চারটি চোখ। দৈহিক গঠন স্বাভাবিক। ঘরের দুয়ারে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে এমন অদ্ভুত আকৃতির জীবন্ত বাছুরটির মাথা দু’টি রাখা রয়েছে সাদা রঙ্গের বালিশে আর দেহটা রয়েছে চটের বস্তাার ওপর। দর্শনার্থীর ভিড় প্রচন্ড। পাশে পাতানো রয়েছে একটি রুমাল। যেখানে দর্শনার্থীরা যে যার সাধ্যমতে অর্থ দিচ্ছে অবলীলায়।
তবে বাছুরের মালিক জয়ন্ত রায় জানান, তিনি অর্থের জন্য বাছুরটিকে প্রদর্শন করছেন না। অনেকে বাছুরটি দেখে তার চিকিৎসা ও খাওয়ানোর জন্য টাকা দিচ্ছে। তিনি নিজেও লোকজনের ভিড়ের কারনে বিব্রতবোধ করছেন বলে জানান।
সুরেশ চক্রবর্তী নামে এক পুরোহিত জানান, শুধু পশু নয়, মানবের মাঝেও প্রকৃতির এমন লীলা প্রায় হয়ে থাকে। তা দেখে অর্থ দেয়া কিংবা পূজা করা সঠিক নয়।
খানসামা উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারী সার্জন ডা: বিপুল কুমার চক্রবর্তী জানান, জন্মগত ত্র“টির কারনে গাভীটি এমন বাছুর প্রসব করেছে। তবে অদ্ভুত আকৃতির এমন বাছুর সচারাচর বেঁচে থাকে না। অফিসের একটি টীম বাছুরটির চিকিৎসার জন্য ওই গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
আলোডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইনুল হক শাহ জানান, সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড়ের কথা স্বীকার করে বলেন, সে সময় টাকা দেয়ার দৃশ্য তিনি দেখেননি।