চিরিরবন্দরে বৃষ্টিপাতের কারণে রসুন নিয়ে বিপাকে চাষিরা
মিজানুর রহমান (মিজান), চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: চিরিরবন্দরে বৃষ্টিপাতজনিত আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে রসুন চাষিরা উৎপাদিত রসুন রোদে শুকাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর চাষিরা ব্যাপক হারে রসুন চাষ করেছেন। রসুনের ফলনও হয়েছে ভালো। মার্চ মাসের প্রথম থেকেই ক্ষেত থেকে রসুন উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাজারদরও ভালো। শুরুতেই প্রতিমণ রসুনের বাজারদর ছিল ৪/৫হাজার টাকা। বর্তমানে বৃষ্টি ও আমদানি বেশি হওয়ার কারণে প্রতি মণ রসুনের দাম দুই হাজার টাকার নিচে নেমে এসেছে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে হঠাৎ করে আবহাওয়ার কারণে আকাশের বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টির কবলে পড়েন রসুন চাষিরা। অসময়ের বৃষ্টিপাতের কবলে রসুন, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন রবিশস্য পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলায় প্রতিদিনই রাতদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আবার ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ থাকছে সারাদিন মেঘলা। আকাশ মেঘলার কারণে আকাশে রোদ না থাকায় কৃষকরা তাদের রসুন রোদে শুকাতে পারছেন না। ক্ষেত থেকে তুলে আনা রসুন রোদে শুকাতে না পারলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। এতে করে আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হবেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৩৪৭ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চাষ হয়েছে ৬৮০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
নশরতপুর গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার কামরুল জানান, এ বছর উপজেলায় ব্যাপকহারে রসুনের আবাদ হয়েছে। বাজারও ভালো যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ এরকম আবহাওয়ায় রসুন শুকাতে পারছিন না। বাজারও কমতে শুরু করেছে। বেশিদিন রসুন এক জায়গায় রাখলে পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে রসুন নিয়ে খুব বিপাকে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, চৈত্র মাসে আকাশে রোদ থাকে। কিন্তু এবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে রসুন চাষিরা ঠিকমতো রসুন শুকাতে পারছেন না। তবে জমি থেকে রসুন তুলে ঠিকমতো শুকাতে পারলে কোন ক্ষতি হবে না।