মানিকগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ
শারমিন শোভা, স্টাফরিপোর্টার: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ১৪ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুররহিম (৩০) নামের যুবককে আটক করা হয়েছে। রহিম দৌলতপুর উপজেলার শিকদারপাড়া গ্রামের রহম আলী মোল্লার ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক। নির্যাতিতা প্রতিবন্ধী কিশোরীর বড় বোন জানান, জন্মের পর থেকেই তার বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। গত মঙ্গলবার কোন প্রয়োজনে প্রতিবেশী ফজর শেখের বাড়িতে যায় তার প্রতিবন্ধী বোন । বাড়িতে ফাঁকা পেয়ে ফজর শেখের শ্যালক আব্দুর রহিম কৌশলে তাকে একটি ফাঁকাঘরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণকরে এ ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য আব্দুর রহিম ধর্ষিতার হাতে ২০টাকা ধরিয়ে দেন। এরপর ধর্ষিতা ২০ টাকা নিয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাড়িতে আসে। কান্নাকরা ও টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে ধর্ষণের কথা বলে তার বোন। ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় মাদবর সহ গ্রামের লোকজনের কাছে ধর্ষণের কথা বলেন তারবাবা। পরে গ্রামের লোকজন আব্দুর রহিমকে বাড়ি থেকে ধরেনিয়ে আসে এবং গ্রামের লোকজনের সামনে ধর্ষণের কথা স্বীকারকরে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে আব্দুর রহিমকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে রহিম এর স্বজনরা তাকে উদ্ধারকরে দৌলতপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহিম জানান, গ্রামের লোকজন বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসে এবং মারধর করে। কিন্তু কি কারনে তাকে মারধর করেছে তা তিনি জানেন না। প্রতিবন্ধী ঐকিশোরীকে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন তিনি। দৌলতপুর থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকমর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার জানান ঘটনাটি শোনার পর বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন তিনি। এর পর নির্যাতিত ঐকিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে আসামীকে পুলিশ পাহাড়ায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং নির্যাতিতা ঐ কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।