অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন জেনে নিন কোথায় কোন নিয়ম

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:07 PM, 07 June 2020

শাহাব উদ্দীন রাফেল, স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুরো দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন-এই তিন জোনে ভাগ করে লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। করোনা আক্রান্তের হার কোন এলাকায় কেমন-তার উপর ভিত্তি করে এই তিন জোনে ভাগ বা ম্যাপিংয়ের কাজটি করছে আইসিটি মিনিস্ট্রি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জোনভিত্তিক লকডাউনসহ বিকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়েলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়েলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।

জানা যায়, রেড জোনে শুধু ফার্মেসি, হাসপাতাল, নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিটি রেড জোনে স্বেচ্ছাসেবক টিম থাকবে, জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত থাকবেন এসব টিমে। স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া ও মনিটরিংয়ের কাজ করা হবে। আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে রাখা এবং আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে রাখাও নিশ্চিত করা হবে। সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হবে। রেড জোনে থাকা মানুষ যাতে বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরের লোকজন যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে সে জন্য প্রবেশ ও বের হওয়ার সড়কের মুখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেবেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটিতে ছিল দেশ। অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সরকার ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলার ঘোষণা দিয়েছে। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়। কিন্তু, চলমান করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আরো কঠোর হচ্ছে সরকার। পুরো দেশকে ‘রেড, ইয়েলো ও গ্রিন’-এই তিন জোনে ভাগ করে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :