আখ চাষ কম মহিমাগঞ্জের রংপুর সুগার মিলে

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:22 PM, 07 December 2019

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর সুগার মিলের বিভিন্ন জোন এলাকায় চলতি আখ রোপন মৌসুমে আখের উৎপাদন হয়েছে অনেক কম। ফলে আখের অভাবে মিলে চিনি উৎপাদন হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকা বাসী এবং আখ চাষীরা বলছেন সুগার মিল আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। সারাবছরে ঠেলেঠুলে একমাস চলে।

গোবিন্দগঞ্জে কৃষিভিত্তিক মিল কারখানা গড়ে না উঠলেও এখানকার মাটি ও জলবায়ু আখঁ চাষের উপযোগী।এ লক্ষ্যে ৩৫ একর জমি নিয়ে ১৯৫৪ সালে কাজ শুরু করে মহিমাগঞ্জ রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড নামে একটি চিনিকল স্থাপনার কাজ সমাপ্ত হয় ১৯৫৭ সালে।১৯৫৭-১৯৫৮ মৌসুম হতেই চিনি উৎপাদন শুরু হয়।চিনিকলটির দৈনিক মাড়াই ক্ষমতা ১৫০০ মেঃ টন।চিনিকলের আওতায় খামারের জমির পরিমান ১৯৮২.২০ একর।মিল এলাকায় আখঁ চাষ উপযোগী জমির পরিমান ৩৯,০০০ একর। আখঁ সাব জোনের সংখ্যা ৮টি এবং ৪২ টি ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

এত কিছু থাকার পরেও সুগার মিলে শুধু লোকসান আর লোকসান। সুগার মিল আগে চলতো যে খানে প্রায় আড়াই তিন মাস আর এখন এক মাস চলতেই কষ্ঠ হয় আখের অভাবে।স্থানীয়রা বলছেন সুগার মিল কর্মচারী সঠিক সময় বীজ সার না দেয়া ,মাঠে গিয়ে সি ডি ও রা ভালো ভাবে খোঁজ না নেয়া। সব মিলে কৃষকরা আখ লাগাতে তেমন মনোযগী না।

মিল জোন এলাকার আখ চাষি বলেন, গতবার মাড়াই মৌসুম শেষ হওয়ার তিন মাস পর কৃষকরা টাকা পান। কর্তৃপক্ষের এই তালবাহানার কারণে আখ চাষে আগ্রহ কমেছে। অন্যদিকে সুগার মিলের একটি সুত্র জানায়, সুগার মিলের কাছে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পরও অনেক চাষি গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দাম পেয়ে গোপনে আখ বিক্রি করছে। স্বাভাবিক কারণে এতে মিল প্রয়োজনীয় আখ পাবে না।

স্থানীয়দের দাবী বহুমুখী পন্য উৎপাদনের মাধ্যমে চিনি শিল্প রক্ষা করা সম্ভব। সুগার মিল কর্পোরেশন এটি রক্ষায় প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নেবেন ইহায় আমাদের প্রত্যাশা।

আপনার মতামত লিখুন :