কলেজ জাতীয়করন নিয়ে বর্তমানে অন্ধকারে রয়েছে রানীশংকৈল-
বাসী
মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ।। বর্তমান এই শিক্ষা বান্ধব সরকার এবারে দেশের ১৯৯টি ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করনের জন্য অনেক যাচাই বাছাই করে ইতোমধ্যে তালিকা প্রকাশ করেছেন। এ কারনে কলেজ জাতীয়করন উপজেলা গুলোতে ব্যাপক আনন্দের জোয়ার বয়েছে। একই ধরনের আনন্দের বন্যা বয়েছে ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায়,অথচ বর্তমানে রয়েছে অন্ধকারে। এখানে সরকারের ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করন প্রকাশিত তালিকায় নারী শিক্ষায় অগ্রনী ভুমিকাপূর্ণ রানীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজের নাম ছিল,মহিলা ডিগ্রী কলেজ কৃর্তপক্ষ,শিক্ষক,শিক্ষার্থীসহ উপজেলাবাসীর উদ্যোগে সরকার,শিক্ষামন্ত্রী,স্থানীয় সাংসদ সেলিনা জাহান লিটাকেসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালী করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে অলিগলিতে ফেস্টুন ব্যানার শাটায় কলেজ কৃর্তপক্ষ ও এলকাবাসী। পক্ষান্তরে জাতীকরনের তালিকায় রানীশংকৈলের সু-নামধন্য বিদ্যাপিঠ ডিগ্রী কলেজের নাম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলেজ কৃর্তপক্ষ,শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা এ কারনে কলেজ কৃর্তপক্ষ মানববন্ধন,বিক্ষোভ,সর্বদলীয়সভা,সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষকে স্মারক লিপি প্রদানসহ ব্যাপক কর্মসূচী পালন করেন। এবং ডিগ্রী কলেজ কৃর্তপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ব্যাপক লবিং শুরু করে নিজেদের অধিকার ও যোগ্যতার জানান দেন। এক পর্যায়ে মহিলা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করনের তালিকা থেকে অনির্বায কারনে বাতিল করে ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করনের জন্য যাবতীয় কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন বলে পত্র পান ডিগ্রী কলেজ কৃর্তপক্ষ আবার কিছুদিন পরেই আবার ডিগ্রী কলেজকেও স্থগিত করা হয় জাতীয়করনের কার্যক্রম থেকে,এ কথা স্বীকার করে ডিগ্রী কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন,আমরা জাতীয়করনের কার্যক্রম চালানোর চিঠি পেয়েছি এবং স্থগিতেরও চিঠি পেয়েছি,জানিনা কি হবে বা কোনটি কলেজ জাতীয়করন হবে । তবে মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মহাদেব বসাক জানান, আমরা জাতীয়করনের কার্যক্রম স্থগিত সংক্রান্ত কোন চিঠি পত্র পাই নি সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের নিকট হতে। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের যথাযথ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।