চিরিরবন্দরে পূজামন্ডবের প্রতিমাগুলো এখন রংয়ের অপেক্ষায়

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:06 PM, 28 September 2016

মো. মিজানুর রহমান (মিজান), চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ঘনিয়ে আসছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক বড় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব। এবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৪২টি পূজামন্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৭ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব। এ উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণ হচ্ছে দূর্গা প্রতিমা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাদা মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সূতলি দিয়ে দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন শিল্পীরা। মাটির কাজ শেষ হলেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। তাঁদের আশা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে সব প্রতিমা তৈরির কাজ। বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি প্যান্ডেল তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ পুরোদমে চলছে।

উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুরে বেলতলী সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিরে গিয়ে কথা হয় মালাকার বা শিল্পী দীনাবন্ধু চন্দ্র রায়ের সাথে। তিনি জানান, দূর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে দূর্গা প্রতিমা। আর এই প্রতিমা তৈরির জন্যই তাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন বিভিন্ন মন্দিরের পূজা আয়োজক কমিটি, দর্শনার্থী ও ভক্তরা। তাই প্রতিমাকে মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হয়। তিনি আরো জানান, এখন প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ প্রায় শেষ। আগামী ৬ অক্টোবর রাতের মধ্যে সব প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে। তাই সহযোগিদের নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারে একটি প্রতিমা তৈরি করতে ৫০/৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হচ্ছে। এছাড়া আলোকসজ্জা, তোরণ ও প্যান্ডেল তৈরিতেও অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন বর্ম্মণ জানান, আমরা বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সভা করেছি। প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সব মিলিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা সার্বিক তদারকি করছে যাতে সুষ্ঠুভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান আনিছ জানান, কোন প্রকার বিশৃংখলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আগামী ১১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ৫দিনের শারদীয় এ উৎসব।

আপনার মতামত লিখুন :