বগুড়ার আমন চাষীরা বাম্পার ফলন ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখলেও দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:39 PM, 25 November 2019

শিবগঞ্জ বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এবার
রোপা আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, সময়মত প্রয়োজনীয়
বৃষ্টিপাত হওয়া ও উপজেলা কৃষি অফিসের সু পরামর্শ প্রদান করায় কৃষক
বাম্পার ফলন আমন ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। তবে সিন্ডিকেট
ব্যবসায়ীর কারসাজির কারনে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ধানের দাম নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, অত্র উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ২০ হাজার ১ শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের টার্গেট রয়েছে। ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।

সরেজমিনে বেশ কিছু কৃষকের সহিত কথা বলে জানা যায়, এবার কৃষি
অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ নেওয়া ও সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি
পাত হওয়ায় আমন ক্ষেতে রোগ বালাই কম থাকায় ধান ভাল হয়েছে। ধানের ক্ষেত দেখে চাষীরা বাম্পার ফলনের আশা করেছেন। তবে শেষ দিকে নি¤œ চাপের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ক্ষতির আশংকা করেছেন কেউ কেউ। তবে কিছু চাষী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলাই।

কিন্তু কোন ফসলের সঠিক দাম পাইনা। এ কারনে লোকসানের
হিসাব গুনতে গুনতে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা বলেন ইরি- বোরো ধান কেটে বাজারে বিক্রি করে যখন কৃষকের গোলার ধান শেষ সেই মুহুর্তে সরকার ধান কেনা শুরু করে। ফলে সিন্ডিকেটের চাতাল ব্যবসায়ীরা কম মূল্যের ধান ডাবল দামে বিক্রি করে। টাকা আলারা আরো বেশী টাকার মালিক হন।

কারন এসব চাতাল মালিকরা সরকার দলের রাজনৈতির সাথে জড়িত।
কিন্তু কৃষকের পক্ষে কেউ নেই। তাই এবার আমান ধান চাষীরা প্রথম থেকেই যেন ন্যায্য মূল্য পায় এমন দাবী করছেন কৃষকরা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আল-মুজাহিদ বলেন-
কৃষকদের নিয়ে কাজ করাই আমাদের কাজ। কৃষক তার উৎপাদিত ফসল সঠিক দামে বিক্রি করে লাভবান হোক এটাই আমাদের কাম্য। তাছাড়া সরকারি বিধিমত আমি সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সাহায্যে
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য
নিয়ন্ত্রক মোঃ কামাল উদ্দিন সরকার প্রতিবেদক কে বলেন, সরকার যখন কৃষকদের নিকট থেকে ধান কেনার নির্দেশনা দিবেন তখনই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। তিনি বলেন আমি চাই কৃষক তার উৎপাদিত
ধানের ন্যায্য মূল্য পাক। কিন্তু অনেক সময় কৃষকরা সরকারি বিধি মেনে

গোডাউনে ধান বিক্রি করতে সমস্যা মনে করে ধান দিতে চায় না। এবার
আমন ধান কেনার নির্দেশনা আসলে কৃষকদের কে বিধি মত যে কোন
ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

আপনার মতামত লিখুন :