গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:06 PM, 03 June 2020

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। দেশে সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ায় , সড়কে যানবাহন চলছে সীমিত আকারে । স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এই মহামারী ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে জনসমাগম ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে ।

আর সেই সুযোগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে কৌশলে দিনরাত চসে বেড়াচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা মাদক ব্যবসা।

বিশেষ করে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে মাদকের আখড়া সহ চালিয়ে যাচ্ছেন জুয়া। আর এ সব বিষয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলেও তারা কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এলাকার একাধিক সূত্রে জানিয়েছেন, স্থানীয় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন এর বিভিন্ন এলাকা সহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে অপরিচিত লোকদের আনা গোনা দেখা যায়। এরা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বিভিন্ন কৌশলে যোগাযোগ করে আবার চলে যায়।

সম্প্রতি মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রসা মসজিদের একটি টিউবওয়েল চুরি হয় এবং আশে পাশের অনেক বাসা বাড়িও চুরি হওয়া শুরু হয়েছে ।স্থানীয়দের দাবি এলাকায় অনেক হিরোইন সেবী ,ফেন্সিডিল ,ইয়াবা খোর এই কাজে জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা । কারণ দেশে এখন মানুষ করোনার আতংকে রয়েছে সেই সুযোগে চুরি বেড়ে গিয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, এই ইউনিয়নে বেশ কিছু পয়েন্ট রয়েছে যেগুলোতে মাদক কেনা বেচা হয়,এমন কি গ্রামে পাওয়া যায়। মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশন,জীবনপুর (সতীন পাড়া ) জিরাই,বামনহাজরা সহ বাজারের বেশ কিছু জায়গায় পাওয়া যায় ইয়াবা ফেন্সির মত মাদক দ্রব্য।

এই এলাকায় মাদকের আখড়া ঘরে তুলছে। কাউকে কিছু বলা যায় না। পুলিশের কাছে বললেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে না। স্থানীয়দের দাবী এলাকার নেতাদের সাথে জোগসাজোস করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ইউনিয়নের কয়েকটা গ্রামের লোকের সাথে সংবাদ আজকালের সাথে কথা হইলে নাম না বলার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, মহিমাগঞ্জে কিছু চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে সে গুলোকে ধরলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।তারা পুলিশের হাতে ধরা খায় কয়দিন পর আবার ছাড়া পেয়ে আবার ব্যবসা শুরু করে। তাহলে আমার প্রশ্ন হইলো এদের পিছনে কেউ না কেউ জড়িত রয়েছে। তাদের কেউ, আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমাদের সমাজ ভালো হবে।

জিরাই গ্রামের নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের তেমন আনাগোনা নেই সেই সুযোগে স্থানীয় মাদক কারবারীরা হরদমে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা।

জীবনপুর বামন হাজরা স্টেশন বাজার নাম না জানার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা পাল্লাদিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা,এমনকি কিছু শীর্ষ শ্রেনীর লোকেরাও,দিন দিন নেশায় আসক্ত হচ্ছেন। তারা আরও বলেন মাদকের সাথে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও জড়িত রয়েছে ।

এলাকার সচেতন মহলের দাবি উপজেলা প্রশাসন ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবেন। কারণ আমাদের এলাকার যুব সমাজ দিন দিন নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :