চুরি ছিনতাই মাদক বিক্রি যৌনকর্মী হতে বাধ্য হচ্ছে পথ শিশুরা
সাহাব উদ্দীন রাফেল ,ষ্টাফ প্ৰতিনিধি : প্রতিটা মানুষ সমাজেরই অঙ্গ। সবাই মায়েরই সন্তান, অথচ রাস্তায় থাকা পথ শিশুদের আমরা মানুষ বলেই যেন ভাবতে পারিনা। পথ শিশুদের জীবন যাপনকে তুলে ধরতেই সংবাদ আজকালের অনুসন্ধান।
প্রতিদিন আমরা বহু সংখ্যক পথ শিশুদের দেখে থাকি। শিশু হওয়া সত্বেও তারা সঠিক শিক্ষা পায় না। সমাজে তাদের অবস্থান টা কি তা বলা মুশকিল। শরতের আকাশ, কাশ ফুল আর শিউলির গন্ধ জানান দিচ্ছে শীত চলে আসছে।আমাদের ইট কাঠের দেয়ালে ঘেরা এই শহরে ওদের প্রতি ভালবাসা দেখানোর মানুষের খুবই অভাব।আসলে ওরা কারা? তারা এক গুচ্ছ কোমলমতি হৃদয়।
ঢাকা কল্যানপুর,কমলাপুর রেল স্টেশন ,ফার্মগেট,গুলিস্থান। নিউমার্কেট ,ঘুরে বেশ কিছু পথ শিশুদের কাছে শোনা যায় অনেক রকমের কথা ,একজন বলেন আবার বাবা জেলে বস্তিতে থাকি সারাদিন মানুষের কাছে যে টাকা পাই সেই টাকা দিয়া মেয়ে কিস্তি দেয়।
আরেকজন বলেন ,আমি তখন আরো ছোট ছিলাম। আমার বাবা নেই। মা আরেক জায়গায় বিয়ে করেন। তাই আমাদের পাঁচ ভাইবোনের দেখার কেউ ছিল না। আমরা একবেলা খেতে পেতাম আরেক বেলা পেতাম না। এভাবেই আমরা একসময় ক্ষুধার জালায় রাস্তায় নামছি।আর কথা বলতে পারছিলো না মেয়েটি। কান্না আটকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো সে।শুধু এই শিশুটি একা নয়। এরকম কয়েক লক্ষ শিশু এখন ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে।
তাদেরকে দেখতে পাওয়া যায় লঞ্চ-টার্মিনাল,রেলওয়ে-স্টেশন, বাস-স্ট্যান্ড, ওভারব্রিজ এবং শহরের নানা সড়কে।
একটি শিশু বলছিলো সে ভিক্ষা করে কিন্তু নিজের ইচ্ছায় না, তাকে বাধ্য করা হয়।
সে বলছিলো,আমারে বড় ভাইয়েরা বলে তুই ভিক্ষা কর, তো যা লাগে বাকিটা রেখে আমারে দিয়ে দিবি। এখন আমি সারাদিন সকাল থেকে ভিক্ষা করি। কিন্তু দিন শেষে আমাকে কিছুই দেয় না। আমি একটা টাকাও রাখতে পারি না। আমি তো জানি না এইটা খারাপ কাজ।
প্রতিভা যাচাই করতে গিয়ে দু’টি শিশুর কবিত আবৃত্তি শুনে মনোমুগ্ধকর হয়েছি আমরা। আসলেই জীবন থেমে থাকে না। আমরা যদি সমাজে ওদের একটা অবস্থান করে দিতে না পারি দিনে দিনে বাড়বে আরো অনেক পথ শিশু। আসুন আমরা পথ শিশুদের পাশে দাঁড়াই। সমাজের উচ্চ্ মহল থেকে শুরু করে সবাই চেষ্টা করি আসছে দিন গুলোতে ওদের পাশে দাঁড়ানোর । ওরাও তো আমার আপনার বা আমাদের সন্তানের মত।