শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:11 PM, 18 December 2019


গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সর্বত্র গত দু’দিন থেকেই হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। বুধবার সারাদিন জেলার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে গোটা গাইবান্ধা জেলা। গুগল সুত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা দিনের বেলাতেই ১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে। সেই সাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা।

হঠাৎ শুরু হওয়া এই শীতে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত এবং চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়ে। এছাড়াও পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুর উপজেলার দরিদ্র মানুষ গুলো শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি। শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষক বানানোরও হিড়িক পড়েছে।

ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে অনেকে দিনের বেলায় গাড়ির হেড লাইড জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ে। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা জেলায় শীতকালে দরিদ্রশ্রেনীর মানুষ গুলো ব্যাপক শীতের দূর্যোগ পোহাতে হচ্ছে ও মানববেতর জীপন যাপন করতে হচ্ছে। জেলার দরিদ্র মানুষের শীত নিবারণে শীতবস্ত্রের সহায়তা প্রয়োজন।

আপনার মতামত লিখুন :