স্বামী হত্যা মামলা দায়ের করায় পুলিশ ও প্রতিপক্ষের হয়রানির শিকার বাদী পরিবার

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:57 PM, 18 July 2020

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : হত্যা মামলা দায়ের করায় বিভিন্ন ভাবে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে বাদীর অভিযোগ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ০১ ডিসেম্বর ২০১৫ এরশাদ আলী প্রতিপক্ষের আঘাতে নির্মম ভাবে হত্যার শিকার হলে গত ০৪/১২/১৫ তারিখে নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেওয়া বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং-০১।

একাধিক সুত্রে জানা গেছে, এরশাদ হত্যার পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে দিন দিন সংঘাত বেরেই চলছে। আরো জানা যায় পুলিশ নাকি নিহতের ভাই আমজাদ হোসেন পরিবারের নিকট মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে পরিবারটিকে নিঃস্ব করেছে।

এ ব্যাপারে আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে আরো জানা যায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা রুহিয়া থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করার কারণে প্রতিপক্ষরা তাদের নিজে ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়ে এবং পুলিশকে ম্যানজ করে গত ০৬/১১/২০১৬ তারিখে রুহিয়া থানা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং-০১।

শুধু ইহাই নহে গত ২৫/০২/২০১৯ তারিখে আমজাদ হোসেন সহ তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পতি ভাবে হত্যা মামলার আসামীগণ মিলে মোস্তাক আলী নিজের মেয়েকে নিজেরাই এসিড নিক্ষেপ করে আমজাদ আলীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের এসিড অপরাধ দমন আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এলাকায় চা ল্য সৃষ্টি করেছে।

এদিকে এরশাদ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত প্রভাবশালী আসামী বাবুল ইসলাম রুহিয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে দিবালকে ঘুরে বেরাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাকে কেন গ্রেপ্তার করছেন না। রুহিয়া থানার এস.আই. আবুবক্কর সিদ্দিক মোটা অংকের টাকা দাবি করায় ও এলকায় গুনঞ্জন অব্যাহত রয়েছে এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার ও.সি. চিত্ত রঞ্জন রায়কে অবগত করা হলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

আমজাদ হোসেন জানান, আমার ভাই হত্যার মামলা দায়ের করার পর থেকেই পুলিশ ও প্রতিপক্ষের শোলা পরামর্শে আমাকে নানা ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে ও আমার পরিবারকে নি:স্ব করার স্বড়যন্ত্র চলছে। এব্যাপারে নিহতের ভাই আমজাদ হোসেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ সদস্য জনাব রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে একাধিক বার মৌখিক নালিশ করার পরও কোন বিহিত ব্যবস্থা গৃহিত হয়নি।

হোটেল ব্যাবসায়ী আব্দুল রাজ্জাক জানান, আমাকে এসিড মামলার স্বাক্ষী বানানো হয়েছে কিন্তু এসিড নিক্ষেপ বিষয়ে আমি স্বচক্ষে কিছুই দেখেনি বলে সে জানায়। সার ব্যবসায়ী একরামুল হকের একই ভাষ্য। রুহিয়া থানার ওসি চিত্র রঞ্জন রায়ের সাথে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আসামী গ্রেফতার বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না। বাদীরা যদি বেশী খোঁচাখোঁচি করে আসামী তাহলে পালিয়ে যাবে।

এস.আই আবু বক্কর সিদ্দিকের মোটা টাকা ঘুষ গ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন সিদ্দিক ঘুষ গ্রহণ করেন নাই আমি নিশ্চিত। এর কারণ হলো চার্জসিট ও আসামী গ্রেফতার বিষয়ে আমরা কোন টাকা পয়সা নেই না। পুলিশের ঘুষ গ্রহণ এলাকার জনসাধারনের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নেকদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

আপনার মতামত লিখুন :