কমলগঞ্জে শহিদ হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:32 PM, 05 July 2021

শাহাব উদ্দিন আহমেদ কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শহিদ হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদী ও বাদির পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে মামলার আসামীরা। অব্যাহত হুমকির পাশাপাশি রাতে বসত বাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী ও তার পরিবাবের সদস্যরা।

জানা যায়, কমলগঞ্জের কাঁঠালকান্দি গ্রামের হাসিদ মিয়ার ছেলে মামলার বাদী তোয়াহিদ মিয়া জানান, গত ২৮ জুন বিকালে তার ভাই শহিদ মিয়ার ফসলি জমির রোপনকৃত ধান খাচ্ছিল প্রতিবেশী দুদু মিয়ার ছাগলে। তখন শহিদ মিয়ার ১২ বছরের ছেলে করিম ফসলি ক্ষেত থেকে ছাগলটি ধরে আনেন। ছাগলটি ধরে আনার কারনে ছাগলের মালিক দুদু মিয়া শিশু করিমকে এলোপাথাড়ি চর থাপ্পর দিলে করিম স্ব জুড়ে কান্না করে। ছেলের কান্নার শব্দ শুনে শহিদ এগিয়ে গিয়ে তার ছেলেকে মারধর করার কারণ জানতে চাইলে দুদু মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুদুর ভাই বাচ্চু মিয়া,ছেলে ফজলু আলী ও কান্তু মিয়া ঘটনাস্থলে শহিদকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় দুদুর হাতে থাকা বাশেঁর তৈরি ছুরিকাঘাতে শহিদ মিয়া (৩৫) আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এলোপাতাড়ি লাথি,কিলঘুষি মারতে থাকেন। তাদের হাল্লা চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা রক্তাত্ব শহীদকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুদু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ঘটনায় রাতেই শহিদের ছোট ভাই তোয়াহিদ মিয়া বাদি হয়ে দুদু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামীরা হলেন বাচ্চু মিয়া, ফজলু আলী ও কান্তু মিয়া।

মামলার বাদি তোয়াহিদ বলেন, ভাই খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরাঘুরি করছে। তারা মামলা তুলে নিতে তাকে ও তার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। তাতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে তাদের বসত বাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এতে তিনি সহ তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

স্থানীয়রা জানান, শহিদ খুনের অন্য আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের ধরছে না।

আপনার মতামত লিখুন :