গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাতার চ্যারিটি নামক দাতা সংস্থায় ব্যাপক অনিয়ম

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  12:13 AM, 21 July 2020

নিজস্ব সংবাদাতাঃ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নাকাই ইউনিয়নের দক্ষিণ খুকশিয়া গ্রামে কাতার চ্যারিটি নামক দাতা সংস্থায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকা বাসী সুত্রে জানা যায়,মোঃ ফয়জুর রহমান(বাবলু) পিতা মৃত্যুঃ ফারাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোছাঃ হেলেনা রহমান গ্রামঃখুকশিয়া উভয়ই এনজিও কর্মকর্তা৷ তারা কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় গ্রামের হতদরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে নিজের অর্থায়নে সহযোগিতার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে। স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই এনজিও কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহিত সুসম্পর্ক হওয়ায় কাতার চ্যারিটি নামক দাতা সংস্থার সহযোগিতার আশ্বাস পান এবং এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আরও প্রকল্প খোলা হয়।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৫/৭টি প্রকল্প আছে যা নিম্নরূপঃ খুকশিয়া অগভীর নলকূপ,খুকশিয়া মসজিদ, খুকশিয়া রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, খুকশিয়া রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা, খুকশিয়া লিল্লাহ বোডিং, খুকশিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্র, খুকশিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল সহ আরও প্রতিষ্ঠান খোলার পায়তারা চলছে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,কাতার চ্যারিটি কর্তৃক অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্র ওশিক্ষক দেখিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকাপ্রতি মাসে অনুদান হাতিয়ে নিলেও নেই কোন শিক্ষক ও ছাত্র। শুধু তাই নয়, শিক্ষক ও ছাত্র বিহীন প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাকুরী দেওয়া র নামে চলছে কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য।

সরেজমিনে জানা যায়, সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ ফয়জুর রহমান (বাবলু) ও তার স্ত্রী হেলেনা রহমান সাধারণত সম্পাদক সহ তাদের নিজ নিয়ত্রিত কয়েকজন লোক নিয়ে একটি কমিটি আছে মাত্র । কমিটির সদস্য মোঃআবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমরা কমিটির সদস্য নাম মাত্র আছি তবে আমরা জানি লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা প্রতিমাসে অনুদান আসলে ও আমাদের কাছে কোন হিসাব নিকাশ নাই। সব দায় দায়িত্ব ওদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সিমা বদ্ধ। এখানে উন্নয়নের জন্য অনুদান আসে ঠিকই কিন্তুু মানষিক অবস্থার কারণে কোনো উন্নয়ন নাই।

আরোও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে ৮টি রুম আছে। এই ৮টি রুমের দরজার উপরে প্রতিষ্ঠানের এক একটি নাম দিয়ে ষ্টিকার লাগানো আছে। অর্থাৎ যে কয়টি রুম সেই কয়টি প্রতিষ্ঠান। হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সরেজমিনে গেলে শুধু একজন ছাত্র পাওয়া যায় মুঠোফোন মাদ্রাসা র শিক্ষক হুজুর মামুনুর রশীদ (মামুন) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানে শুধু একজন ছাত্র নিয়ে আমি একাই থাকি আর কোনো ছাত্র শিক্ষক কেউ নেই।

জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে কাতার চ্যারেটির অনুদানের লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা কোথায় উধাও হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ২৯-০১-২০২০ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ হলেও তার কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানা যায়। এব্যাপারে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তুু প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারি হেলেনা রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা এলাকার মানুষের উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি কিন্তু লোকজন ভালো নয়, এরা কোনো উন্নয়ন চায় না। আমরা সব প্রতিষ্ঠান কয়েক মাস আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছি। কাতার চ্যারিটির কোনো অনুদান আমাদের কাছে নেই কোন হিসাব নিকাশ ও নেই।

এবিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না বলে মুঠোফোন কেটে দেন। কাতার চ্যারেটির অনুদানের সব টাকা কিভাবে লুটপাট হলো তার সঠিক তদন্ত করে এবং চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধশিক্ষিত লোকজনের নিকট থেকে যে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিয়ে এসব লুটপাট কারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্থি ও এই প্রতিষ্ঠান গুলোকে বাচানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

আপনার মতামত লিখুন :