শিবগঞ্জে মোকামতলায় কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মামীকে হত্যার পর ভাগ্নের আত্মহত্যা

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:21 PM, 14 May 2019

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে মামীকে হত্যা করে ভাগ্নে আত্মহত্যা করেছে। মামী অনৈতিক সর্ম্পকে রাজী না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মামী আলেয়া বেগম(৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। ভাগ্নে আপেল(২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
সাইদুরের ১ম স্ত্রী উপিয়া বিবি জানান, আপেল পেশায় কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করে। ছোট বেলা থেকে আপেল একই পরিবারে নানা তোজাম্মেল হোসেনর বাড়িতে বসবাস করে। তার মামা সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সাথে ভাগ্নে আপেল অনৈতিক সর্ম্পক সহ প্রেমের পরকিয়া চলে আসছিল। গত দেড় মাস আগে আপেল তার মামী আলেয়ার ঘরে অনৈতিক কর্মকান্ডে হাতেনাথে ধরা পরেন। পরে শাসন বারনে গ্রামে শালীস বৈঠক করে দু’জনকে সর্তক করে দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে আপেল তার মামী আলেয়াকে অনৈতিক কার্যকলাপের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন যে যার কাজে চলে যায়। এ সুযোগে মামী আলেয়া আপেলের প্রস্থাবে রাজি না হয়ে গোসল করতে গেলে আপেল ধারালো বাটাল দিয়ে পিছন থেকে স্বজরে কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে স্থানীয়রা বাড়ির উঠানের পার্শ্বে টিউবওয়েল পাড়ে মামী আলেয়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ভাগ্নে আপেলকে বাড়িতে না পেয়ে খোজাখুজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন। একপর্যায় বাড়ির পার্শ্বে পরিত্যাক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে ভাগ্নে আপেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারনা করা হচ্ছে,আপেল কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে তার মামী আলেয়ার ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ওই বাটাল দিয়েই নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করে। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্ত মাখা বাটাল উদ্ধার করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :