সোনাতলায় দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুই নারীর সংবাদ সম্মেলন

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:55 PM, 10 November 2019

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ  শনিবার সকালে বগুড়ার সোনাতলা অস্থায়ী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের এক দাদন ব্যবসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই অসহায় মহিলা পৌর এলাকার গড়ফতেপুর গ্রামের মৃত আতাউর রহমান মেয়ে মোছাঃ নূর আকতার বানু ও একই গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে  মোছাঃ সাহানা খাতুন ।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই নারী উল্লেখ করেন  গত ৪ বছর আগে সমস্যায় পড়ে সোনাতলা উপজেলার পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের বাবু পোদ্দারের মেয়ে বাবলির নিকট থেকে মোছাঃ নূর আকতার বানু ৫০ হাজার ও সাহানা খাতুন ৫০ হাজার টাকা দাদন হিসেবে গ্রহন করে। চার বছর যাবত ২০ টাকা হারে তারা নিয়মিত সুদ দিয়ে আসছিল। প্রথম দিকে কোনো ষ্ট্যাম্পে বিষয়টি লেখা না থাকলেও ২০১৭ সালে ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় বাবলি ও তার ভাই শাহীন। এ যাবত সুদ সহ ৫০ হাজার টাকার বিপরীতে তারা (সাহানা খাতুন) ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করে।

অন্যদিকে ৫০ হাজার টাকার বিপরীতে (নূর আকতার বানু ) ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা সুদ আসলসহ প্রদান করে। তারপরও নানা ভাবে বাবলি ও তার ভাই শাহিন তাদেরকে বিভিন্ন হয়রানী করতে থাকে। হয়রানীর বিরুদ্ধে তারা দু’জন সোনাতলা থানায় অভিযোগ করলে বাবলি ও শাহীন আরেকটি অভিযোগ করে। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে সোনাতলা থানা পুলিশ শাহিনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের থানায় ডেকে নেয়। সেখানে সাহানা ও তার বাবা সোনামিয়াকে হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। থানায় ষ্ট্যাম্পে সাহানার নামে  ৩ লাখ টাকা নেয়া আছে মর্মে ও আমার (নূর আকতার বানু) নামে ৪০ হাজার টাকা নেয়া আছে মর্মে স্বাক্ষর নেয়। এছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের গত প্রায় ০৮ মাস আগে বগুড়া এসপি অফিসে ডেকে নিয়ে আপোষ-মিমাংসার জন্য ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। বর্তমানে সুদের টাকার ঘটনায় আমরা নিঃস্ব ও বাড়ি ছাড়া। আমরা চাতালে দিনমজুরের কাজ করে দিনাতিপাত করছি।

এমতাবস্থায় শাহিনের লোকজন প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের উপর ও আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে থাকে। তাদের ভয়ে বাড়ির বাহিরে যেতে পারি না। যেকোন সময় তারা আমাদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। গত ২ নভেম্বরেও আমাদেরকে মারপিট করেছে। এ ব্যাপারে সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।

এহেন অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি আমলে নিয়ে  দাদন ব্যবসায়ী শাহিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও এ অ লকে দাদনমুক্ত করতে আমরা প্রশসানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আপনার মতামত লিখুন :