শিবগঞ্জে ব্যাটারী গলানো কারখানার প্রভাবে ফসলী জমি ও গবাদীপশুর ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ

বার্তা বিভাগবার্তা বিভাগ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:06 AM, 09 January 2020

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মোটরযানের পুরাতন ব্যাটারীর শীসা গলানো কারখানায় বিষাক্ত ধোয়ার প্রভাবে স্থানীয় ফসলী জমি ও গবাদীপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, উপজেলার মোকমতলা ইউনিয়নের পাইকর জুটমিলের পার্শ্বে গড়ে উঠেছে পুরাতন ব্যাটারীর শীসা গলানো কারখানা। যার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ইউনিয়নের মাঝপড়া, পার আচঁলাই, খামাড়পাড়া ও মুরাদপুর এলাকার ফসলি জমি, গবাদীপশুসহ পরিবেশ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে উক্ত এলাকার অধিকাংশ স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন। উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে ফরিদুল ইসলাম বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দায়ের করেছে।

দায়েরকৃত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারখানায় ব্যাটারীর শীসা গলানো হয়। শীসা গলানোর সময় পুরো এলাকা বিষাক্ত ধোয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ধোয়ার ঝাঁঝ ও দূর্গন্ধে প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে এলাকার শিশুরা।

আরো জানা যায়, ক্যামিকেলের ধোয়ার প্রভাবে আশেপাশের আবাদী জমিতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কারখানার আশেপাশের জমির ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসাসী খরের পালা দিয়ে রাখে। সেই খরগুলি গরুকে খাওয়ানোর ফলে এলাকার প্রায় ১১টি গরু অসুস্থ্যতার একপর্যায়ে মারা গেছে। যার মধ্যে গত ৭ জানুয়ারী এলাকার আব্দুল ওয়াহাব ও ফরিদুলের দুটি অন্ত:সত্ত¡া গাভী মুখ দিয়ে লালা ও রক্ত পড়ে মারা যায়, যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বর্তমান অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে বেশ কিছু গবাদীপশু। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ফরিদুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, ওসি, প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফরিদুল ইসলাম জানান, কারখানার বিষাক্ত ক্যামিকলের ধোয়ায় পরিবেশসহ আশেপাশের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলে আমার ২টি গরুসহ এলাকার ৯টি গরু মারা গিয়েছে।

এব্যাপারে কারখানার মালিক হারুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার কারখানার আশেপাশের কোন জমির ফসলের ও পরিবেশের ক্ষতি হয়নি। আমার কারখানার পার্শ্বে গম ক্ষেতের চারা সঠিকভাবে অঙ্কুরোদম হয়েছে। সামনের জমিতে আলু রোপন করেছে, তার ফলন বিঘাপ্রতি ৮০ মন পেরিয়ে গেছে। আমার কারখানার সীমানার সঙ্গে লাগানো জমির আলুর গাছ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তাতেই বোঝা যায় আমার কারখানার ক্যামিকেলের ধোয়ায় পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না। তাদের গরুগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একটি মহল আমার প্রতি ঈর্শ¦াম্বিত হয়ে হয়রানীমূলকভাবে এমন অভিযোগ করেছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :